বাংলা সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলামের ইসলামী ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্বের অনুসন্ধান: একটি সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ
Description
সার সংক্ষেপ: উপমহাদেশে উপনিবেশবাদের এক চরম সংকটময় অবস্থার মাঝে কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাব ঘটে বাংলা সাহিত্যে। কাজী নজরুল ইসলাম বিশ ও ত্রিশের দশকে উপমহাদেশের অবিভক্ত বাংলার সাহিত্যাঙ্গনে এক ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। সাহিত্য রচনার নানা মুখিতায় মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্যও নজরুল রচনার একটি অন্যতম অধ্যায়। মুসলিম ঐতিহ্যের নানা দিক নিয়ে নজরুল লিখেছেন। নজরুল তাঁর কবিতা, গান ও সাহিত্যের অন্যান্য শাখার ভেতর মুসলমানদের ইতিহাস ও ঐঐতিহ্য তুলে ধরেছেন। হযরত মুহাম্মদ সা.-এর জীবনী, মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শরীফসহ ইসলামের নানা ইতিহাস নিয়ে লিখেছেন। প্রায় দুই সহস্রাধিক গান রয়েছে নজরুলের। যেখানে স্থান পেয়েছে ইসলাম ধর্মের আরো নানা বিষয়। যেমন- নামাজ, রোজা, ঈদ, হজ, জাকাত, হযরত মুহাম্মদ সা.-এর মাতা, পিতা, স্ত্রীসহ বিভিন্ন নবি, রাসুল এবং মুসলিম জাহানের উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ। কাব্য আমপারার মধ্যে দিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফের বঙ্গানুবাদ করতে চেয়েছিলেন নজরুল। হযরত মুহাম্মদ সা.-এর জীবনী প্রকাশ করতে চেয়েছিলেন মরুভাস্কর কাব্যের মধ্যে দিয়ে। "মুসলিম ঐতিহ্য ও নজরুল সাহিত্য" শীর্ষক আলোচ্য প্রবন্ধটিতে এই বিষয়গুলো আলোচনা-পর্যালোচনা করার প্রয়াস রয়েছে। মূল শব্দসমূহ: সাহিত্য, নজরুল, মুসলিম ঐতিহ্য, ধর্ম এবং ইসলাম। "ইসলাম বলে, সকলের তরে মোরা সবাই সুখ-দুখ সম-ভাগ করে নেব সকলে ভাই, নাই অধিকার সঞ্চয়ের!"
Files
Steps to reproduce
উপসংহার: মুসলিম ঐতিহ্য ও নজরুল সাহিত্য শীর্ষক প্রবন্ধটিতে আলোচনা-পর্যালোচনায় দেখা যায়, নজরুল সাহিত্যে ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম ঐতিহ্যের যে সমাহার রয়েছে তা বাংলা সাহিত্যে নজরুল পূর্ব এবং নজরুল পরবর্তী কারো সাহিত্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। নজরুল কখনো ধর্মকে আবার কখনো ধর্মের নানা আনুসঙ্গিক বিষয়কে তার লেখনির বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছেন। তিনি কখনো মুসলিম ঐতিহ্যেকে আবার কখনো কোনো মুসলিম আদর্শকে তার লেখনির বিষয়বস্তু হিসেবে নিয়েছেন। বাংলা সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখায় নজরুল নানাভাবে ইসলাম এবং ধর্মীয় অনুসঙ্গের মনোমুগ্ধকর জোয়ার বয়ে দিয়েছেন। তারুণ্যকে সঠিক পথের ঠিকানা দিয়েছেন নজরুল তার এই মুসলিম ঐতিহ্য বিষয়ক রচনার মধ্য দিয়ে।