রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’-র শতবর্ষে পুনর্মূল্যায়ন
Description
সারসংক্ষেপ: ১৯২৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত নাটক “রক্তকরবী” প্রকাশিত হয়। নাটকটি, যা একাধিক পরিমার্জনা ও সম্পাদনার পর চূড়ান্ত রূপ পায়, আজও পৃথিবীজুড়ে আলোচিত এবং সমালোচিত হয়ে আছে। যদিও কবি নিজে তার জীবদ্দশায় নাটকটির সফল মঞ্চায়ন দেখেননি, ১৯৫৪ সালে শম্ভু মিত্রের নির্দেশনায় এই নাটক প্রথম সফলভাবে মঞ্চস্থ হয়, যা দর্শকদের মধ্যে বিপুল আগ্রহ সৃষ্টি করে। ‘রক্তকরবী’ বিশ্ব নাট্যাঙ্গনে একটি শক্তিশালী স্থান অধিকার করে, কারণ এটি মানুষের প্রতিবাদী মনোভাব এবং শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা তুলে ধরেছে। এই গবেষণা পত্রটি “রক্তকরবী”-র শতবর্ষ উপলক্ষে নাটকটির পুনর্মূল্যায়ন ও সমকালীন প্রসঙ্গের আলোকে একটি গভীর বিশ্লেষণ তুলে ধরবে। সূচকশব্দ: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রক্তকরবী, শম্ভু মিত্র, নাট্যশিল্প, প্রতিবাদ ভূমিকা : ১৯২৩ সালে প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক “রক্তকরবী” তার অনবদ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে। এটি একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক নাটক, যা সমাজের অন্ধকার দিক এবং মানুষের প্রতিবাদী মনোভাবকে চিত্রিত করে। রবীন্দ্রনাথ জীবদ্দশায় তার নাটকের মঞ্চায়ন দেখেননি, তবে পরবর্তী সময়ে শম্ভু মিত্রের নির্দেশনায় ‘রক্তকরবী’ নাটকটি সাফল্যের সঙ্গে মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকটি শতবর্ষ পূর্ণ হওয়ায় এর সাম্প্রতিক প্রাসঙ্গিকতা এবং সমাজে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
Files
Steps to reproduce
উপসংহার : ‘রক্তকরবী’ নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক অমর রচনা। শতবর্ষ পরে এসে এটি আমাদের আরও বেশি প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি হয়ে উঠেছে। শম্ভু মিত্রের নির্দেশনায় নাটকটির মঞ্চায়ন এবং তার পরবর্তী সময়ে এর পুনঃমঞ্চায়ন প্রমাণ করে যে, এটি কেবল একটি সাহিত্যকর্ম নয়, বরং একটি শক্তিশালী সামাজিক ও রাজনৈতিক বার্তা। নাটকটির মূল বার্তা, শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আজকের সমাজে আরও বেশি কার্যকরী হয়ে উঠেছে। তাই, রবীন্দ্রনাথের ‘রক্তকরবী’ আমাদের অনুপ্রাণিত করতে থাকবে এবং এই নাটকটি যতদিন শোষণ ও অত্যাচার থাকবে, ততদিন এর প্রাসঙ্গিকতা অক্ষুণ্ণ থাকবে।